শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন

জিম্মি জাহাজ থেকে নতুন তথ্য দিলেন চিফ অফিসার

জিম্মি জাহাজ থেকে নতুন তথ্য দিলেন চিফ অফিসার

স্বদেশ ডেস্ক

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের অস্ত্রের মুখে বন্দি করে রাখা হয়েছে একটি কেভিনে। এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা নাবিকদের উপর কোন ধরনের শারীরিক নির্যাতন করেনি। তবে অস্ত্রের মুখে তাদের কথা মেনে চলতে বাধ্য করছে দস্যুরা।

অপহরণের শিকার জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান পরিবারের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় জানিয়েছেন, নাবিকদের সামনে জলদস্যুরা অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আশপাশে নেভি জাহাজ দেখলেই ওরা মাথায় অস্ত্র ঠেকাচ্ছে। মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ওরা আমাদের জিম্মি করে রাখছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবারের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানান।

আতিকুল্লাহ খান বলেন, ‘আমি যেখানে ঘুমাই সেখানে পাশ ফিরলেই দেখতে পাই আমার দিকে বড় বড় মেশিনগান তাক করে রেখেছে। এই অবস্থায় ঘুমানো অসম্ভব। মানসিকভাবে চাপে থাকলেও সুস্থ থাকার চেষ্টা করছি।’

জাহাজে মজুত খাবারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এখনো খাবার আছে। কিন্তু, যেহেতু জলদস্যুরাও আমাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছে, আমাদের পানি ব্যবহার করছে, আমাদের খাবার আর কতদিন যাবে সেটা বলতে পারছি না। আর হয়তো ১০-১৫ দিন যেতে পারে। এরপর খাবার ও পানি শেষ হয়ে গেলে খুব কষ্টে পরে যাবো।’

এদিকে, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ২৩ নাবিককে উদ্ধার করতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্সের একটি যুদ্ধজাহাজ তাদের পিছু নেয়। কয়েক দফায় জলদস্যু ও নৌবাহিনীর (নেভি) সদস্যদের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। একপর্যায়ে জিম্মি বাংলাদেশি নাবিককে একে একে হত্যার হুমকিও দেয় জলদস্যুরা। এরপর কোনো উপায় না থাকায় পিছু হটে নেভির যুদ্ধজাহাজটি।

সোমালিয়ার স্থানীয় সময় গত বুধবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজটি তাদের অনুসরণ করে। কিন্তু দুর্ধর্ষ জলদস্যুদের অনড় এবং অনমনীয় অবস্থানের কারণে জিম্মি থাকা ২৩ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবুও মাত্র ২০ নটিক্যাল মাইল দূর থেকে বাংলাদেশি পতাকাবাহী ‘এমবি আব্দুল্লাহ’কে অনুসরণ করে যায় নেভির জাহাজটি। ইতোমধ্যে সোমালিয়া জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রিত জলসীমান্তে প্রবেশ করেছে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এই জাহাজটি। গতকাল বৃহস্পতিবার এক জিম্মি নাবিকের পাঠানো মেসেজ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

জাহাজটি কোন দেশের তা নিশ্চিত হতে পারেননি জিম্মি ওই নাবিক। তবে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, নেভির ওই যুদ্ধজাহাজটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)।

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামের জাহাজটি দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। ইতোমধ্যে জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জিম্মি জাহাজের ২৩ নাবিকের পরিচয়ও জানা গেছে। বাঁচার আকুতি জানিয়ে গোপন অডিও বার্তা দিয়েছেন তাদের কেউ কেউ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877